প্রকাশিত: Sat, Mar 25, 2023 5:57 AM
আপডেট: Thu, Jun 26, 2025 6:53 AM

ইন্টারপোলের লাল তালিকায় আরাভ খান ৬৩তম বাংলাদেশী

মাসুদ আলম: পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়। তবে ইন্টারপোলের নোটিশে এ আসামির জন্মস্থান বাংলাদেশের বাগেরহাটে উল্লেখ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে তার নাম পাওয়া যায়।  মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় আসামি রবিউলের নাম, ছবি ও পরিচয় সংযুক্ত করে প্রকাশ করা হয়েছে। তার বয়স ৩৫। 

এ বিষয়ে পুলিশ সদরদপ্তরের এনসিবি শাখা সূত্রে জানা গেছে, রবিউলের জন্ম বাগেরহাটের চিতলমারীতে মামার বাড়িতে। সেখানেই তার বেড়ে ওঠা। তার জাতীয় পরিচয়পত্রে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে বাগেরহাট উল্লেখ করা হয়েছে। রেড নোটিশ জারি করতে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো আবেদনে রবিউলের জাতীয় পরিচয়পত্রের বাংলা ও ইংরেজি কপি সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। তাই তার জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ীই ইন্টারপোলের নোটিশে ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে।

জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে জানানো হয়, আরাভ খান মামলার এজাহারভুক্ত রবিউল ইসলাম নামেই জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েছিলেন। ঠিকানা হিসেবে বাগেরহাট জেলাও উল্লেখ করেছিলেন। এনআইডি অনুযায়ী, রবিউল ইসলামের জন্ম ১৯৮৭ সালের ১৯ আগস্ট। পড়ালেখা করেছেন মাধ্যমিক পর্যন্ত, জন্মস্থান বাগেরহাট ও রক্তের গ্রুপ ‘বি’ পজিটিভ। রবিউলের বাবা মতিউর রহমান, মাতা লাখি ও স্ত্রীর নাম রুমা। এনআইডিতে আরাভ খান স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা উল্লেখ করেছেন বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার কোদলিয়া ইউনিয়নের আড়ুয়াডিহি গ্রাম।

এদিকে আরাভ খানের ভারতীয় পাসপোর্ট বাতিল করতে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে। শিগগিরই যাতে তার পাসপোর্ট বাতিলের প্রক্রিয়া ভারত সরকার শুরু করে, সে চেষ্টা চালাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রেড নোটিশ জারির পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছে আরাভ। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, রেড নোটিশ জারির পর প্রথম দু-তিনদিন তা প্রকাশ হয় না। শুধু এনসিবি সদস্য দেশগুলোর কর্মকর্তারা দেখতে পান। পরে সেটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হলে সবাই দেখতে পান। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব